বাংলা শস‍্য বীমা যোজনার ফর্ম ভর্তি নিয়ে বেনিয়মের অভিযোগ

10th August 2021 7:28 pm হুগলী
বাংলা শস‍্য বীমা যোজনার ফর্ম ভর্তি নিয়ে বেনিয়মের অভিযোগ


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : "বাংলা শস‍্য বীমা "যোজনার ফর্ম ফিলাপ করতে গেলে সরকারী দপ্তরের বাইরে বেনিয়মের অভিযোগ। কৃষদের কৃষি বিমা যোজনার ফর্ম তুলতে কোভিড বিধি নিয়ম ভঙ্গ করে বেলাগাম ভির। অপর দিকে সেই ফর্ম তোলার পরই কৃষি দপ্তরের গেটের বাইরে অসাধু চক্র। কৃষি দপ্তরের মূল গেটে ঢোকার আগেই  একেবারে চাটা মেলে বসে আছে অসাধু চক্র। ফর্ম ফিলাপ করে দিলেই মিলছে ১০- ২০-৩০ টাকা করে। যেখানে অসাধু চক্র রুখতে খোদ মুখ্যমন্ত্রী বারে বারে সরকারী  দপ্তর বা সরকারী দপ্তরে ফোরেদের হাত থেকে রক্ষা করতে বিভিন্ন করা পদক্ষেপ নিয়েছেন।  সেখানে  পুরশুড়া ব্লক কৃষি আধিকারিক দপ্তরের গেটের সামনেই এমন চক্র। আর এসব চলছে  সরকারি দপ্তরে আধিকারিকদের সামনেই। ছবি করে গেলে সাংবাদিকে বাধা দেন পুরশুড়া ব্লক ভারপ্রাপ্ত কৃষি আধিকারিক । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন পুরশুড়া থানার পুলিশ। এই বিষয়ে পুরশুড়া  ব্লক কৃষি দপ্তরের আধিকারিক বলেন এই ধরনের কোন অভিযোগ আমরা পাইনি। যদি কৃষকরা লিখিত অভিযোগ করেন আমার খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবো। বাংলা শস্য বীমা যোজনার ফর্ম ফিলাম আমাদের দপ্তর করছে না। এটা একটি বেসরকারি সংস্থার কাজ করছে। লিখিত অভিযোগ করলে সংস্থার সাথে কথা বলা হবে।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।